বাজিতপুর উপজেলার নদ-নদী
বাজিতপুরের প্রধান নদী নদী হলো- ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, ঘোড়াউত্রা নদী। এসব নদী থেকে অনেক অনেক শাখা নদী সৃষ্টি হয়েছে। বারবার গতিপথ পরিবর্তন করে বাজিতপুর থানা সৃজনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। হিলচিয়া, দিলালপুর এবং বাজিতপুর শহরের ভূ-ভাগ সৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্রের পলি মাটির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। মেগাসবনিস যাকে বলেছেন যোগান, অষ্টাদশ শতকের পাশ্চাত্য পন্ডিতগণ যাকে বলেছেন কসিন, সেই নদীই কোথাও সুরমা কোথাও বরাক, কোথাও ধলেশ্বরী বা কলনী নামে অভিহিত হয়ে বাজিতপুরের দিলালপুর অঞ্চলের পাশ দিয়ে মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়ে ভৈরবে ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়ে পুনরায় মেঘনা নামে চাঁদপুরের দিকে চলে গেছে। মেঘনারই শাখা নদী সুনামগঞ্জ থেকে ইটনা পর্যন্ত ধনু নামে প্রবাহিত হয়ে সেখান থেকে ঘোড়াউত্রা নাম নিয়ে দিলালপুর এসে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলের অন্যতম নদী হলো ধলেশ্বরী। নদীটি এখাসে সারা বৎসর নাব্য থাকে। ধলেশ্বরী একটি ছোট শাখা দাড়ী নদী নামে হুমাইপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মেঘনা ও ঘোড়াউত্রার সংযোগকারী কুলা নদী নামে আর একটি নাব্য নদী মাইজচর ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। উত্তর পূর্বে ঘোড়াউত্রার শাখা নদী কাদাঙ্গী- যার তীরে হিলচিয়া বাজার অবস্থিত, বর্তমানে এর অস্তিত্ব ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে চলেছে। ব্রহ্মপুত্রের সাথে কাদাঙ্গীর সংযোগকারী এক কালের খরস্রোতা তেজশালী নদী বর্তমানে নামমাত্র টিকে আছে। রেলস্টেশনের পূর্বে ও পশ্চিমে প্রবাহিত মরাগাং বা বুড়ি গাং এখন প্রায় বিলীন। ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে কালী নদীর সংযোগকারী কামালপুর নদীটির বর্তমান কোন অস্থিত্ব নাই বললে চলে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS